উনি সেই ধরণের মানুষ ছিলেন
যিনি একটা মাছিকেও আঘাত দিতেন না ।
এখন প্রচুর মাছি বেঁচে আছে
যখন কিনা উনি নেই।
উনি আমার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন না।
উনি পছন্দ করতেন ভরা খামার, আর আমি যুদ্ধ ।
আমার গর্জন মানে কোতল।
তবুও এখানে আমরা একসাথে রয়েছি
একই যাদুঘরে।
আমি তা দেখছি না, যদিও, মাঝে-মাঝে
তাকিয়ে-থাকা বাচ্চাদের ভিড়
শিখছে বহু-
সাংস্কৃতিক বিনাশের কথা
যেমন ধরা যাক, পাশ কাটিয়ে যাওয়া
এবং এইসব ব্যাপার।
যে মন্দিরে জন্মেছিলুম তা দেখতে পাচ্ছি
কিংবা গড়ে তোলা হয়েছিল, যেখানে আমার আয়ত্বে ছিল ক্ষমতা।
দূরের মরুভূমি আমি দেখতে পাই,
যেখানে তপ্ত তেকোনা সমাধিগুলো, দেখে মনে হয়
দূর থেকে, সোজা কথায়, নির্বোধের টুপি,
আমার হাসিঠাট্টা লুকোচ্ছে : শুকোনো মাংস
আর হাড়, কাঠের নৌকোগুলো
যাতে করে মৃতরা অবিরাম ভেসে যায়
দিশাহীন।
পশুমাথা দেবতাদের কাছ থেকে
তুমি কী আশা করেছিলে ?
যদি ভেবে দেখা যায়
যাদের পরে গড়ে তোলা হল, যারা ছিল সম্পূর্ণ মানুষ
তাও সুসংবাদ ছিল না ।
আমাকে সমাদর করো আর বৈভব দাও,
আমার শত্রুদের নিশ্চিহ্ণ করো ।
সেটাই ছিল মোদ্দা কথা ।
আর হ্যাঁ : আমাকে মৃত্যু থেকে বাঁচাও ।
প্রতিদান হিসেবে আমাদের দেয়া হতো রক্ত
আর রুটি, ফুল আর প্রার্থনা,
আর আন্তরিকতাহীন সেবা।
হয়তো এইসমস্ত ব্যাপারে কিছু-একটা লুকোনো
যা আমি টের পাইনি । কিন্তু আপনারা যদি
নিঃস্বার্থ প্রেমের সন্ধান করছেন,
তাহলে ভুল ঈশ্বরীকে নির্বাচন করেছেন ।
যেখানে আমাকে রাখা হয় আমি সেখানেই বসে থাকি,
পাথর আর মনগড়া ভাবনায় তৈরি :
মানে, যে প্রতিমা আনন্দের জন্য হত্যা করেন
তিনি উপশমও ঘটাবেন,
তোমাদের দুর্বিপাকের মধ্যে,
শেষতম, এক সহৃদয় সিংহী
মুখে করে আনবেন ওষুধপত্র
আর এক নারীর নরম দেহ,
আর তোমাদের জ্বর চেটে সারিয়ে দেবেন,
আর আলতো করে ঘাড় ধরে তোমাদের আত্মাকে তুলে নেবেন
আর আদর করে নিয়ে যাবেন অন্ধকার ও পূণ্যলোকে।
অপূর্ব কবিতার অপূর্ব অনুবাদ
ReplyDelete