খলিসা ফুলের মধু
একে একে সব নৌকা ছেড়ে যাচ্ছে। আর দেরি করা ঠিক হবে
না। তাসমান বনবিবির থান থেকে তড়িঘড়ি বেরিয়ে এলো। তাসমানকে দেখতে পেয়ে আসগর চাচা
বলল, ‘হন হন করে
হেঁটে কোথায় চলেছ তাসমান?’
‘এই যে একটু মহাজনের কাছে’, দাঁড়াতে
ইচ্ছে না করলেও তাসমানকে দাঁড়াতেই হল। আসগর চাচা ফের প্রশ্ন করল, ‘তা তুমিও কি
যাচ্ছ?’
‘হ্যাঁ চাচা।’ তাসমান সংক্ষেপে
উত্তর দিয়ে আবার পা চালাল।
বনবিভাগের পারমিট নেয়া হয়ে গেছে। সাতজনের দল আর নৌকাও রেডি। এখন আর
কিছু টাকা হাতে পেলেই সব সমস্যা মিটে যায়। হোক চড়া সুদ। আরও কিছু টাকা ঋণ না
নিলেই নয় মহাজনের থেকে। একুশ দিনের জন্য যাচ্ছে সে। সংসার চালানোর টাকাটুকু তো
আম্মির হাতে দিয়ে যেতে হবে। এটা বুড়িগোয়ালিনী। তাসমানের গ্রাম। আর মহাজন থাকে
সাতক্ষীরায়।
‘তাহলে তুই যাবিই?’, তাসমানকে
মহাজনের বাড়ি থেকে ফিরতে দেখে আমিনা বলল। আমিনা মানে তাসমানের আম্মি। আমিনার কথার জবাব দেয় না
তাসমান। সে তার বিবি রোকেয়ার উদ্দেশ্যে বলল, ‘আমার কাঁথা, মশারি, বালিশ সব
দিয়েছ তো গুছিয়ে?’ রোকেয়া বলল, ‘হ্যাঁ, সব ব্যাগে
ভরে রেখেছি।’ আমিনা এবার খেঁকিয়ে উঠল, ‘তাহলে তুই যাবিই?’ তাসমান
এবার আমিনার কথার জবাবে বলল, ‘বারবার একই ঘ্যানঘ্যান কেন করো? জানোই তো মোহলের মরশুম বছরে একবারই আসে।’ একই রকম
খেঁকিয়ে আমিনা বলল, ‘মোহলের মরশুম চলে গেলে আবার ফিরে আসে ফি-বছর, কিন্তু ঘরের
মানুষ মারা গেলে কক্ষনো ফিরে আসে না।’ মা-ছেলের
কথাবার্তা রোকেয়া দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে শুনছিল। সে এবার মুখ খুলল, ‘অবুঝের মত কথা বলো না আম্মি।
পুরুষমানুষের ঘরে বসে থাকলে চলে?’ রোকেয়ার কথায় সায় দিয়ে
তাসমান বুক পকেট থেকে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া টাকাগুলো বের করতে করতে বলল, ‘তুমিই বোঝাও
তো আম্মিকে একটু।’ তারপর সে তার আম্মির হাতে টাকাটা গুঁজে দিয়ে বলল, ‘আম্মি, আমরা কালকেই
রওনা হচ্ছি। আর রোকেয়া, তুমি আম্মি আর বাচ্চা দুটোর খেয়াল রেখো।’ সে আরও বলল
রোকেয়াকে, ‘টাকা কম
পড়লে সামনের হাটে মোরগ দুটোকে বেচে দিও। বুঝলে?’ আমিনা এবার
আঁচলের খুঁট দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলল, ‘আমার খেয়াল কাউকে রাখতে হবে
না। টাকা দিয়ে আমার মন ভোলাচ্ছিস?’ তারপর গোঁ হয়ে সে বসে রইল
ছিটেবেড়া বাড়ির উঠোনে। মুখে বাধা না দিলেও রোকেয়াও কি চায় তার স্বামী জঙ্গলে
যাক? অভাবের কাছে
সে যে অসহায়! তাসমানও একটা
দীর্ঘশ্বাস ফ্যালে। আর আপন মনে বলে ওঠে, ‘বাঘ যদি আমাদের মেরেও ফ্যালে
বাঘের ভয়ে আমাদের ঘরে বসে থাকলে চলে না যে।
যদি আমরা জঙ্গলে না যাই, বাড়ির বুড়ো আর
বাচ্চাকাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দেবো কি করে? জঙ্গলেই যে মোয়ালদের জীবন!’
বোটে করে কালই তাসমান এসেছে সুন্দরবনে। ওর সঙ্গে আছে আরও ছয় জন
মোয়াল। এনায়েতই ওদের দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ। জঙ্গল ওর হাতের তালুর মতো চেনা। ওই
দলের সাজদি। মানে দলনেতা। কাল এমনিতেই শরীরের ওপর খুব ধকল গেছে নৌকার দাঁড় টানতে
টানতে। তাছাড়া বেলাও পড়ে এসেছিল। তাই সাজদির কথা মত কালকে ওরা জঙ্গলে ঢোকেনি।
অজস্র ছোট-বড় দ্বীপ
নিয়ে সুন্দরবন। আর দ্বীপগুলোকে জালের মতো জড়িয়ে পেঁচিয়ে রয়েছে অজস্র নদী, খাঁড়ি আর
খাল। এখন জোয়ার চলছে। তাই খাঁড়ি পথ দিয়ে যতটা সম্ভব নৌকাটাকে জঙ্গলের ভেতরে
নিয়ে গেল ওরা। নৌকার দু’পাশে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে রাখতে। কারণ বিপদ এখানে পদে পদে।
আর নৌকো এগোচ্ছে না। দেখতে
দেখতে হাঁটুজলে এসে পড়েছে ওরা। নৌকা থেকে নেমে পড়ল ছয়জন। কলসি, দা, লাঠি, পটকা ও
শিঙ্গা হাতে। এবার পায়ে হেঁটে জঙ্গলে
ঢুকতে হবে।আর একজন রইল নৌকায়। ও সারাক্ষণ নৌকা পাহারা দেবে।
বোট থেকে নেমে তাসমানরা দু’জন
দু’জন করে তিনটে দলে ভাগ হয়ে তিন দিকে ছড়িয়ে পড়ল। গরান কেওড়ার শ্বাসমূলগুলো
ডুবে আছে জোয়ারের ছিপছিপে জলে আর ওদের কচি ডগাগুলো জেগে আছে জলের ওপর গন্ডারের
শিং-এর মত। জঙ্গল, নোনাপানি, শ্বাসমূল, ঠেস মূল, রকমারি
পশুপাখি-এই নিয়েই
সুন্দরবনের বনসৌন্দর্য। কয়েক মিনিট পরেই কানে এল পাখির ডাক। কু-কু। এখানে পরিবেশ কত শান্ত! একেবারে
নিস্তব্ধ। কোনও শব্দ নেই। বাতাসও নেই। এই সকালেই কেমন একটা ভ্যাপসা গুমোট আবহাওয়া।
তাসমানও জবাবে আওয়াজ করে উঠল, ‘কু। কু।’ আওয়াজ করে আসলে
সঙ্গীদের বোঝাতে চাইল, আমি এখানে আছি। জঙ্গলে দলছুট হয়ে পথ হারিয়ে ফেলার ভয় যে
পদে পদে।
এখন বসন্তকাল। এপ্রিলের সবে
শুরু। হাঁটতে হাঁটতে জঙ্গলের ভেতর হঠাৎ থমকে দাঁড়াল তাসমান। কলা মোচার মতো শঙ্কু
আকৃতির ছোট ছোট কুঁড়িগুলো। এই তো খলিসা ফুল। হালকা হলুদ রঙের থোকা। কী সুন্দর! যেন অরণ্য
তার খোঁপায় গুঁজে রেখেছে আর অপেক্ষা করছে তাসমানের মতো মোয়ালদের জন্য।
মার্চের মাঝামাঝি থেকেই ফুটতে
শুরু করে খলিসা ফুল। তারপর ফোটে সাদা রংয়ের ছোট ছোট মাছির মতো চার পাপড়িওয়ালা
পসুর ফুল। সবশেষে ফোটে থোকা থোকা তামাটে লাল বর্ণের গরান। এছাড়াও কেওড়া, বাইন, গেওয়াঁ
গোলপাতা, কাঁকড়া, হরগোজা— এইসব
ফুলেও অরণ্য ভরে যায় এই সময়। কেওড়া ফুলটাও
অপূর্ব লাগে তাসমানের। সবুজ বৃন্তের ভেতর লালের আভাস। মাঝখানে সাদা ফুলটা ঠিক যেন
সাদা উল দিয়ে বোনা। ফুলটাকে উলটে নিলেই দেখতে লাগে ছাতার মতো। হঠাৎ ‘আল্লাহ আল্লাহ’
চিৎকার ভেসে আসে তাসমানের কানে। ও বুঝতে পারে সাজদি কী দেখে চিৎকার করছে। দলের সবাই ছুটে যায় সাজদির কাছে।
দু’-দুটো চাক
দেখে মোয়ালরা ভারী খুশি হয়ে ওঠে। একটা মাটির কাছাকাছি। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাটা
যাবে। আর-একটা চাক গাছের ওপরে। মৌ পাড়তে গেলে গাছে উঠতে হবে। দেরি না করে তাসমান
কাজে লেগে পড়ে। হেতাল গাছের শুকনো ডালপালা দিয়ে ও কারু বানাতে শুরু করে। শুকনো
ডালপালা মশালের মত বেঁধে নিয়ে হেতালের কিছু কাঁচা ডালপালা চারপাশ দিয়ে গুঁজে
দেয় যাতে আগুন জ্বালালেই ধোঁয়া তৈরি হয়। সবাই গামছা দিয়ে নিজের নিজের মুখ চোখ
ঢেকে নেয়। নইলে পোকাগুলো বিষাক্ত হুল ফোটাতে পারে। তাসমান কারু জ্বালিয়ে ধোঁয়া
দিতে থাকে চাকের গায়ে। ধোঁয়া দিতেই চাক ছেড়ে মৌমাছিরা পালাতে শুরু করে দলে দলে।
বেশিরভাগ মৌমাছি ধোঁয়ায় দুর্বল হয়ে চাক ছেড়ে উড়ে গেলে সাজদি চাকের কাছে গিয়ে
হাত দিয়ে সরিয়ে দিতে থাকে বাকি পোকাগুলোকে। তারপর দা দিয়ে কেটে নিতে থাকে খলিসা
ফুলের সাদা মধু। আর একজন হাঁড়ি পেতে থাকে চাকের ঠিক নীচেই। আর বাকিরা তখন গাছের উপরে পাওয়া চাকটা ভাঙতে শুরু করে।
গাছের চাকটাও বেশ বড়ই।
চাক থেকে মৌ ভরা অংশটুকু নিপুণ
হাতে কেটে নিয়ে বাকি চাকটা অক্ষত রেখে দেয় সাজদি। কারণ পোকারা আবার চাকটাকে মধু
দিয়ে ভরিয়ে তুলবে নতুন করে। এটাই মৌ শিকারের নিয়ম।
মধু সংগ্রহের পর আবার হাঁটা
শুরু করে মোয়ালের দল। চাকের খোঁজে। এখানে জঙ্গল
আরও গভীর। বেশ কিছুক্ষণ হেঁটে বেড়ানোর পর আবার গাছের উপর কয়েকটা চাক খুঁজে পায়
ওরা। দুটো চাকের উপরের অংশ ফোলা। মানে মধু আছে। আর-একটাতে মধু নেই। সাজদি চাকটা
দেখে বলল। ওরা মধু শিকারের তোড়জোড় করতেই কোত্থেকে একটা বানর এসে হাজির হল গাছে।
তার পিছু পিছু আরও একটা। বানর দুটো চাক ভেঙে মধু খেতে শুরু করল। তাই দেখে সাজদি
বলল, ‘কারু
জ্বালিয়ে ধোঁয়া দে। আমি গাছে উঠছি। বানরের
গোটা দল এসে পড়লে একটা চাকও আস্ত রাখবে না আমাদের জন্য।’ চাক ভাঙায় ব্যস্ত সবাই।
আর তাসমান পটকা ফাটিয়ে আওয়াজ করতে শুরু করল যাতে কাছেপিঠে বাঘ থাকলে ভয় পেয়ে
দূরে সরে যায়।
সুন্দরবনের এক দ্বীপ থেকে আর-এক দ্বীপে মধুর খোঁজে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে
এপ্রিল মাস অর্ধেক ফুরোতে চলল। কোনওদিন বনবিবি
তাসমানদের দুই হাত ঢেলে মধু দিয়েছে। কোনওদিন আবার সেরকমভাবে মধুই জোটেনি। মোটের ওপর ভালোই মৌ জুটেছে কপালে। হাতে আরও ক’দিন আছে।
এদিকে বিকেলের কোলে ঢলে পড়েছে সূর্য। একটা কুমির খাঁড়ির পাশে কাদা ভরা ডাঙ্গায়
শুয়েছিল হাঁ করে। দাঁড়ের শব্দ পেয়ে কুমিরটা জলে ঝাঁপ দিল। নিরাপদ একটা জায়গা
খুঁজে তাসমানরা নোঙর ফেলল। আজ রাতটা মোয়ালের দল এখানেই কাটাবে।
রাতের খাওয়া হয়ে গেছে। নৌকায় চিত
হয়ে শুয়ে শুয়ে খোলা আকাশ দেখছিল তাসমান। সারাদিনের ক্লান্তি। বাকিরা ঘুমিয়ে
পড়েছে। চাঁদ উঠেছে আকাশে। ছড়ানো ভাতের মতো তারা ফুটেছে। বাড়ির কথা মনে পড়ছে
তাসমানের। আম্মু, রোকেয়া আর বাচ্চা দুটো কেমন আছে কে জানে! নিশ্চয়ই
আম্মু আর রোকেয়া খুব দুশ্চিন্তা করছে। জল-জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে কারা যেন হঠাৎই
বলে উঠল, ‘হুঁশিয়ার!’ জন পনেরো
লোকের চেঁচামেচিতে তাসমান ধড়ফড় করে উঠে বসল। দুটো নৌকা দু’দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে
তাসমানদের নৌকাটাকে। ততক্ষণে মোয়ালদের দলের সবাই ধড়ফড় করে জেগে উঠেছে। চাঁদের
আলোয় আবছা একটা ছায়ামূর্তি গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল, ‘আমাদের
চাঁদা দিসনি কেন?’ ঘটনাটা এত আচমকাই ঘটেছে যে সাজদি কিছু বলে ওঠার আগেই
তাসমানদের দলের সবচেয়ে কম বয়সি ছোকরাটি বলে উঠলো, ‘কীসের চাঁদা? আর তোমরাই
বা কারা?’ অল্পবয়সি
ছেলেটির কথা শুনে সেই ছায়ামূর্তি বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দিল সোজা ছেলেটির বুকে।
তারপর বলল, ‘জাহাঙ্গীর
বাহিনীর নাম শুনেছিস? এই জঙ্গল আমাদের রাজত্ব। জাহাঙ্গীর বাহিনীকে চাঁদা না দিয়ে
কেউ একটা গোলপাতাও নিয়ে যেতে পারে না জঙ্গল থেকে। আর তোরা তো নিয়ে যাচ্ছিস মধু!’ পরিস্থিতি
বেগতিক দেখে সাজদি এবার বলে উঠলো, ‘ও ছেলেমানুষ ! ওকে
মেহেরবানি করে ছেড়ে দাও। টাকা তো আমাদের কাছে খুব বেশি নেই, তোমরা কিছু
মধু বরং নিয়ে যাও।’ সাজদির কথা শুনে বোধহয় খুশি হল ছায়ামূর্তি। তারপর তার শাগরেদদের
উদ্দেশ্যে বলল, ‘অ্যাই, ওদের বোট
থেকে পঞ্চাশ কিলো মধু তুলে নে।’ শাগরেদরা মধু তুলে নিতেই
ছায়ামূর্তি শূন্যে একটা গুলি ছুড়ল। তারপর নৌকা দুটো নিয়ে আবার অন্ধকারে অদৃশ্য
হয়ে গেল। জলদস্যুরা চলে যাওয়ার পর সে রাতে আর ভালো করে ঘুমোতেই পারেনি তাসমান।
একুশ দিনের খাবারদাবার রসদ যা
ছিল ফুরিয়ে এসেছে। আজই তাসমানদের মধু শিকারের শেষদিন। আজ ওরা
নৌকা নিয়ে এসেছে অন্য একটা দ্বীপে। কাদার উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ সাজদি
থমকে দাঁড়িয়ে বলল, ‘দ্যাখ, দ্যাখ, এগুলো কী!’ এগুলো যে
বাঘের পায়ের ছাপ তা আর তাসমানকে নতুন করে বলতে হবে না। সবাই পটকা ফাটিয়ে ফাটিয়ে
জঙ্গলে ঢুকছে। সাজদি বললো, ‘ওই যে চাক। বাইন গাছের ডালে।
যত শিগগির সম্ভব চাক ভেঙে এই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে।’ সবাই মৌ শিকারে ব্যস্ত
হয়ে পড়ল। শুধু তাসমানেরই কাজে মন নেই। বুকের ভেতরটা হুহু করে উঠছে তার। গত বছরও
মধু শিকারে এই দ্বীপে এসেছিল তাসমান তার আব্বুর সঙ্গে। এটাই তো সেই বাইন গাছ যেখান
থেকে বাঘটা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আব্বুর ঘাড়ের ওপর। নিজের চোখের সামনে থেকে বাঘটা
রক্তাক্ত আব্বুকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল আর তাসমান অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
দেখছিল। পারেনি সে আব্বুকে বাঁচাতে।
সাজদি গাছে উঠে মধু কাটছে সেই
বাইন গাছ থেকে। টসটস করে মধুর ফোঁটা ঝরে পড়ছে কলসিতে। আর যন্ত্রণায় বেঁকেচুরে
যাওয়া আব্বুর মুখটা মনে করে তাসমানের চোখ থেকে ঝরে পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা পানি। এক
ফোঁটা চোখের পানি ঠোঁটে গড়িয়ে পড়তেই তাসমান বুঝতে পারল চোখের পানির স্বাদ মোটেও
খলিসা ফুলের মধুর মতো নয়।
No comments:
Post a Comment