বাক্‌ ১৪৪ ।। রাজর্ষি দে





খাদ্যাভ্যাস 

ছোটবেলায় দাঁত দিয়ে নখ ছিড়ে খাওয়ার এক বদভ্যাস ছিল
এইভাবে আঁচড়-কামড়গুলো সোজা উদরস্থ করতাম
মুখের উপর থাকত নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি
শাক দিয়ে মাছের মতন 
চিরশান্তির সাদা কাপড়ে থাবা ঢাকা পড়ত

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে
নখ থেকে তর্জনী, তর্জনী থেকে পাঞ্জা
তার থেকে গোটা হাত
এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে 
জঠর গোটা ক্ষুধা গিলে নিচ্ছে

ছোটবেলায় এটা আমার বদভ্যাস ছিল
এখন অভ্যাসটুকুই আছে, মালিক নিরুদ্দেশ




চেনা জানা

আমি বন-ঘাগরা চিনি না

আমার চৌকো আস্তানায়
কিছু ফ্যাকাশে শীর্ণ শৌখিন বাঁশগাছ আছে
এক গ্লাস নিস্তরঙ্গ দুখী জলে

আমিও রোদ-মাটি-ঝড় চিনি না
শুধু সাপের ফণার মতন
শিকড় ভাসে
সাদা পাতার উপর 
ফোঁস করে ওঠে নীলের ছিটে

আমি বিসলেরি চিনি, গর্ভের জল চিনি না

4 comments:

  1. আমার সবসময়ই মনে হয়, নিজের যাপন ও অভিজ্ঞতা থেকে যে লেখা আসে সে লেখাই কবি-সাহিত্যিককে বাঁচিয়ে রাখে। আমি নিজেও এই বিশ্বাস নিয়ে লিখি।তোমার দুটো কবিতাতেই সেটা পেলাম। আমার এই বিশ্বাস জেনে কেউ কেউ হয়তো প্রাচীনপন্থী ভাববেন ।তাতে আমি টলব না। আমি এখনও মনে করি,সাহিত্যকে আমূল উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়।কিছু ভিত্তি আছেই যাদের ওপর বিভিন্ন ভাবনা সময়ে সময়ে ভিন্নদিকে ডালপালা মেলেছে। এই যেমন Open Ended ব্যাপারটা আমি নিজে মানি,সচেতনভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করি। তোমার দুটো কবিতাতেই আমি সেটা পেলাম। আসলে আমি যেটা বলতে চাইছি, দুটো লেখাই আমার দৃষ্টিতে খুব ভাল হয়েছে। খুব ভাল থেকো ভাই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. তুমি এত সময় দিয়ে পড়লে.. আর তুমি আমাকে ধারাবাহিক ভাবে পড়ে যাচ্ছ.. কী আর বলব, ভালবাসা নিও

      Delete