বাক্‌ ১৪৪ ।। প্রীতম বসাক



বুদ্ধ সংগীত

১.

আমি খুঁজিতেছি জলের মায়াবী চরণ। উহ্য বিশেষ্য। প্রাচীন শহরটিকে পুনরায় গর্ভবতী করিয়া দাও। নিযুক্ত করো ধাত্রীমাতা। কিংশুক ফুলের প্রতি ঝুঁকিয়া পড়ুক ক্ষুধা নিবিড় প্রজাকুল। পাঠককে উহার স্বাভাবিক উদ্ভিদ হইতে দূরে নিক্ষেপ করিয়া দাও। উহার ব্রাহ্মণ্য ভ্রষ্ট হউক। কাঁদিতে পারিয়া ধন্য হইবে মৃতবৎসা। এই ঘন বসত। মুণ্ডুবিহীন লোকালয়। উহাতে শ্রী গৌতম আসিয়া বসুন। আমি তাহার অনির্বচন অনুবাদ করিবো অশ্রু পাতিয়া।  

২.

প্রতিটি শস্যে মনুষ্য চাহিতেছে তাহার অন্তর্নিহিতকে। বৃক্ষ জানিতে তৎপর উহার কারিগরের নাম। তুমি চিন্তা করিতেছ সুতরাং তুমি আছ। এই জ্ঞান লইয়া জলের নিকটে আমাদের সরলতম গান রাখিয়া আসি। স্বর্ণচাঁপা কুড়াইয়া গৃহে ফিরিয়া যায় জ্যোতির্ময়। ওই দেখো স্তনসুলভ মেঘে ছাইয়া গিয়াছে রসুইঘর। হাঁড়ির বৃন্ত হইতে  ঝরিতেছে আমাদিগের চৈতন্য। চর্চাশ্চর্যবিনিশ্চয় সমূহ। মুখরিত ক্রন্দনের ভিতর হইতে জাগিয়া উঠিতেছে বুদ্ধের করুণ আঁখি। 

৩.

শূন্যের যোগ্য হইয়া উঠো। পর্বত বেষ্টিত যে রূপক তাহার খোসা ছাড়াইয়া বেদনাটিকে চিনিয়া লও। গড়াইয়া পড়ুক মৃদুস্বরের জল।বাক্য শোধন করিয়া উপবিষ্ট হও খাদ্যে। ধুলোমলিন যে কিশোর রাখাল সাজিতে গিয়া মেঘ পাইয়াছিল। উহাকে ধ্যানমৌন করিয়া দাও। মহামারী কিংবা জীবনের প্রতি অনবদ্য নদীভাবজানিও  নীরবতা দিয়াই রচিত মনুষ্য নিয়তি। তথাপি মরা মরা বলিতে বলিতে তুমি চিনিয়া লইয়ো আনন্দ। তিতির পক্ষী উড়াইয়া দিও মধুর হাসিয়া।    
                   



25 comments:

  1. অনন্যত্রয় বক্ষমানসে মুকুলিত হইল। তিতিরপক্ষীর উড়ানে বন্ধনী দিলাম শুভেচ্ছার স্তবক দিয়া। হে কবি, আপনি বিদীর্ণ হউন আকাশে বাতাসে। চিরায়ত হউক আপনার হৃদিকালিদাস।।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনন্য এই প্রতিক্রিয়া।। আমার ভালোবাসা জেনো

      Delete
  2. অপূর্ব সুন্দর কবিতা দাদা ❤❤❤

    ReplyDelete
  3. 'দুনিয়াদারি'-তে আপনার কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। এই লেখাও মুগ্ধ করল।

    ReplyDelete
  4. খুব ভালো লাগলো কবিতা গুলো

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই যে নতুন লেখাগুলোকে য়ে আপ, আপনারা প্রশ্রয় দিচ্ছেন —আমি সাহস পাচ্ছি খুব

      Delete
  5. এই নতুন ভাষা যে তোমার পছন্দ হচ্ছে আমার খুব ভালো লাগছে।। আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জেনো

    ReplyDelete
  6. একটা আচ্ছন্ন জগতে তুমি রয়েছ বেশ কিছুদিন। বুঝতে পারছি। কী সেই অথবা কে সে জানতে ইচ্ছে করছে । খুব ভাল লাগল ব্রাদার ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. একটা কাব্য করে বললে জীবন।। আর সরাসরি বললে সন্তান।।

      Delete
  7. আপনি এক নতুন শৈলীকে অবলম্বন করছেন... এই প্রচেষ্টা যে রূপ পাচ্ছে, অতীতের অন্য কবিতাগুলির (যতটুকু আপনার কবিতা পড়েছি) থেকে আলাদা, এবং বেশি স্পর্শ করছে মনকে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই যে আপনাকে আমার লেখারা স্পর্শ করতে পারছে তার মানে আমি কোথাও সৎ ভাবে লিখতে পারছি জয়দীপ৷ এই কারণে আপনার কথাগুলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ যে একটা কৃত্রিম ভাষায় লিখেও যে স্পর্শ করা যায়, অনেকেই এই কৃত্রিমতা আর না ছুঁতে পারার সম্ভাবনার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন,আমি যারপরনাই আস্বস্ত হলাম।। আমার ধন্যবাদ জানবেন

      Delete
  8. সম্প্রতি আপনার কবিতা আমি খুব মন দিয়ে পড়ছি, একটা ভিন্ন জগৎ আবিষ্কার করতে পারছি।
    ভালোবাসা রইল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ দাদা।। খুব ভরসা পেলাম।।

      Delete
  9. এক নং অংশটুকু সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো।

    ReplyDelete
  10. পূর্বের মতো এই লেখাগুলিও ভালো লাগলো

    ReplyDelete
  11. অসামান্য লেখা। এই লেখাগুলি অন্তরের সত‍্য থেকে উঠে আসছে। সহজাত দর্শন তো আছেই,ভাষার অধিকার খুবই গভীর। এই লেখাগুলি বাংলা কবিতার জন‍্য এক নতুন পথ।

    ReplyDelete
  12. অসামান্য লেখা। এই লেখাগুলি অন্তরের সত‍্য থেকে উঠে আসছে। সহজাত দর্শন তো আছেই,ভাষার অধিকার খুবই গভীর। এই লেখাগুলি বাংলা কবিতার জন‍্য এক নতুন পথ।

    ReplyDelete
  13. অসাধারণ! ভীষণ ‌ভালো লাগলো।

    ReplyDelete
  14. কী যে ভালো লাগলো গো!

    ReplyDelete
  15. অন্যস্বাদ পেলাম। সাধুভাষায় লিখিত বলে আলাদা করতে পারছিনা। বরং যা লিখতে চেয়েছেন সেটা চলিতে লিখতে পারলেই যেন মনে হল আরও ভাল হত।

    ReplyDelete
  16. অন্যস্বাদ পেলাম। সাধুভাষায় লিখিত বলে আলাদা করতে পারছিনা। বরং যা লিখতে চেয়েছেন সেটা চলিতে লিখতে পারলেই যেন মনে হল আরও ভাল হত।

    ReplyDelete
  17. অন্যস্বাদ পেলাম। সাধুভাষায় লিখিত বলে আলাদা করতে পারছিনা। বরং যা লিখতে চেয়েছেন সেটা চলিতে লিখতে পারলেই যেন মনে হল আরও ভাল হত।

    ReplyDelete