বাক্‌ ১৪৪ ।। মায়িশা তাসনিম ইসলাম



তৎপূর্ববর্তী

আবারো সন্ধ্যা নামার আগে অন্ধ হই
অজস্র উল্কাপাতে
খোঁড়াপায়ে লাফাচ্ছে 
স্বপ্ন-সংঘাত
কোন বিবর্ণ সিন্ধুক হতে ডাকে হিদায়াত!

ঝিমানোর আগে রেটিনার কঠোর ওয়াদা
মরে যায়, ডাকে যখন পলায়ন পিপাসা 

চোখবন্ধ সেই অনন্তের দাওয়াতে শুধাই
কইগো বকুলবনের স্রষ্টা সমাচার!
যার সঙ্গমে জেগে ওঠে ঈশ্বর পরিত্যক্ত ফুল 
যে লিখে গেছে বন্ধ্যা গর্ভে জন্মান্তরের মূল...

যে বেদন তারপর পোড়ায় বহু করুণায়
তার হাতে ত্রিশুল তুলে দিয়ে কই গৌরবময়
"বড় দাহ্য আমি--
সন্ধ্যা নামার আগে অন্ধত্বের কসমে
আগুন কামাতুর অবোধ মরমে!"

আবারো সকাল, ক্ষুধা ও অবসাদের প্রতিযোগিতা

সূর্যের কেটলিতে ফুটন্ত রোদের কুমকুম সিম্ফনি
রাগিণী খেলায় দহন আমার অন্নের দাম জানেনি

হাড় বেরনো শরীর বুঝে না আত্মহত্যার ম্যাজিক 
হাড় বেরনো চামড়ায় নেই পেটের সাথে হৃদয়ের শিরিক...

তাই যখন সন্ধ্যা হবো হবো করে
ডিপ্রেশনের ইমারতে চুমু খেতে আসে
ঝলসানো রুটির জোছনা!

সন্ধ্যা নামার আগে নিভে যায় রেটিনার ওয়াদা
সন্ধ্যা নামার আগে জগতের সব ঝিঁঝিরাও বোবা...


রণক্ষেত্র 

অভিশাপ পরবর্তী ইকুয়েশনে, বলেছিলাম
মদ নিয়ে এসো। সংলাপে ভরা হৃদয়ের গেলাস পোষায় না আর।
স্পর্ধার ফটকে সাইকিক বেলুন

অস্থিহীন শরীর দিয়ে চামড়া অনুভব করতে গিয়ে বাঁশির ভেতর বাশগাছ

অলিন্দহীন চক্রে মহান রথিদের দাবি,
ক্ষতচিহ্ন দিয়ে মহাকাব্য লিখতে জানেন

রাষ্ট্রীয় শেকলে বন্দী বাহুডোরে সরীসৃপ প্রেমিক হামাগুড়ি, অসময়ে ফণা তোলে কারচুপি বিবেক!
কিষাণী, পূন্য জল নদীর স্নানে দেখে,
দাঁড়িয়ে আছে কোনো এক মহানায়কের কবরে...

জারজ শরীরে ঈশ্বরের আহাজারি শুনতে হয়

শস্যের সাথে ক্যাসিনোর ঘসায়  তলোয়ারে ছাতা পড়া দাঁত
ট্যারট কার্ডে প্রশ্ন, শহীদ হলো কে?
আসলে রক্তে পা পিছলায় অন্য কারো




No comments:

Post a Comment