বাক্‌ ১৪৪ ।। মনোজ দে



রকেটগলি

১.
আলো নিভে যাওয়া তখন অভ্যেস। লাল প্লেজার অথবা লেডি বার্ড শিশিরের নীচে। গাছেরা হয়ে উঠেছিল আশ্রয়। নরম ওড়না ভেঙে বয়ঃসন্ধির এগিয়ে যাওয়া। শহরে তখন প্যাস্টেল রঙ বিক্রি হয়। দুএকটা গানের স্কুল। তালিমের পাশে পড়ে থাকা রিড, আঙুলে তুলে সম্মতির ভেতর ছড়িয়ে দিয়েছিলে তুলো। এত আলো, এত ব্রাইডাল শুট, তোমাকে মনে পড়ে প্রিয়, নাকছাবি হারানোর দুঃখে লাল হয়ে যাওয়া কান্না

২.
বইয়ের ভেতর অপেক্ষার পালক। ভাঁজ করে রাখা সমুদ্র। উপহার মনে পড়ে? সামান্য টিপ। ভবিতব্যের উপর ওই নিখুঁত সমর্পণ। তারপর বহুদিন। ভাইয়ের পাহারা নেই। অজুহাত নেই, সন্ধ্যের একঘন্টার। নিষেধের এই উদযাপন, গোপন ইশতেহার, সমস্ত ভুলে একা বেরিয়ে পড়েলে। এখন কাগজের দর, পাখিদের উড়ে যাওয়া, সমস্ত দেখে তোমার মাঝরাতের আকাশ হওয়ার স্বপ্ন মনে পড়ে

৩.
আলো ভালোবাসো, আমি অন্ধকার। এই শাশ্বত বৈপরীত্যের মাঝে আমাদের দেখা হওয়া। মফস্বলে স্বাধীনতা বলতে ছাদ। তবুও এত ভিড়ের মাঝে কীভাবে আলাদা করবে একটা রোগা ইতস্তত সাইকেল। বাঁশি তো প্রাচীন, ঘুঙুরও নেই। একটু ঝুঁকে থাকা ততখানি অর্থবহ হয়ে ওঠে না, যতখানি বিকেলের রোদ। তাই আকাশের দিকে, পড়ন্ত অফিসের দিকে ছুটে যায় সমবেত নালিশ। বাবা আসে। তোমার বই খুলে বসা। আর একটা রবিবারের দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে সমস্ত মনস্তাপ

11 comments: