বাক্‌ ১৪৪।। তমোঘ্ন মুখোপাধ্যায়



কথা

গলায় কলস বেঁধে ডুবে গেছে মরাল-বাহিনী।

জল মৃৎশিল্প চেপে ধরে।
এ ঘটনা রাতে ঘটে। 
সকালে সমস্ত জল স্থির।

অথচ বিকেল হলে হাঁস-পরিবার হয়ে
ভেসে ওঠে
কলস-শরীর।

অজস্র হাঁসের মাংস কুমোরের হাত ছুঁতে যায়।

ছুরি

আপেলের একটা টুকরো তাকিয়ে দ্যাখে
অপর টুকরোকে।
জুড়ে যাওয়ার এত সাধ আগে কেন বোঝেনি সেভাবে?

একাকী মধ্যস্থলে শুয়ে আছে ঈশ্বরের নখ।

সঙ্গমের নন্দনতত্ত্বে এর বেশি কিছু বলা নেই।

বাকি যা ভেবেছে লোক,
সেসব অস্ত্রবিদা। ভুল...



মদ

এখন ফলের রক্ত পেটে গিয়ে গাছ গড়ে তোলে।

প্রতিটি গাছের গায়ে লেখা আছে
"চোখ মৃদু বালকের জামা।"

যতবার সেলাই সাজিয়ে বসি,
          ততবার ছুঁচে লেগে পিছলে যায় পায়ের ধমনী।



রাগ

কেটে গেছে সব মাথা মাঝবরাবর।
ধোঁয়া যত উঁচু, তত
সম্ভাবনা অতিবৃষ্টি, ঝড়।

ছেলের দুচোখে মুখ দেখি।

বিস্ময় গেঁজে গিয়ে ঘৃণা হয়ে যাবে না তো পরে?



পশু

দুনিয়া ঘাসের বস্তি। 
আমাদের দাঁত চন্দ্রকলা।

যেসব সবুজ রোজ চাঁদ চায় গাঢ় বিছানায়,
তাদের গ্রহণ চেনাতে
আমাদের মুখ নেমে আসে।

খিদে এক অন্ধ পাথর। হোঁচটে প্রতিবর্ত...ঘন্টা...লালা

4 comments:

  1. ভালো লাগল লেখাগুলি

    ReplyDelete
  2. "ছেলের দুচোখে মুখ দেখি।
    বিস্ময় গেঁজে গিয়ে ঘৃণা হয়ে যাবে না তো পরে?"

    ― আহা।

    ReplyDelete