ঘরোয়া দৃশ্যগুলি
১
রক্তদানা না রাখার অপরাধে পিঁপড়ের লংমার্চ। ভয় পাচ্ছি। কীটদষ্ট
করো না এভাবে। জুতোও চায় না তাকে, কেন যে জবরদস্তি গুঁজে
রাখছ ফিতে। এও এক বধূ নির্যাতন। অন্ধকার শয্যা। হাড়ের ভেতর থেকে হাত পা নাড়ায়
কোনো ভীষ্ম অবতার। সঙ্গলোভে নৌকো ডোবে আর বুনো টিকটিকির চোখে গৃহস্থ বৌয়ের ছল। কী
এক সন্দেহ নিয়ে সারাদিন তাক করে আছে
২
ভরে উঠছি অযথা সন্দেহ আর রুচিহীনতায়। সরের ছাউনি দেখে মনে হল দুধের
বাটিতে কেউ মাকড়সার ডিম ছেড়ে গেছে। ঈশ্বর তো সিটি বাজাতে পারে না, তবুও বাতাস কেন সাড়াহীন নয়! আলো নেভানোর আগে সরে গেছে চাঁদ। সমস্ত বিছানাজুড়ে
জ্যোৎস্নাবীর্যের রঙ, এক সিন্ধু আলো। উঠে আসি ছাদে। জানলা খোলা।
তুলোডেটলের চেয়ে সাদা নবীনার পা দুখানি দেখে কেবলই প্রণয় জাগে, কই, কখনও তো প্রণাম জাগে না
রাক্ষুসে
১
কড়ি
গুনে গুনে যারা
পোয়াল বিচুলি বুনে বানিয়েছ বাসা
কুঞ্জ ও কসাইখানা যেও না। সেখানে
নান্দনিক দুঃখ নেই। কুলোপনা বীথি
পিতৃদায় সংশয়ে আধো গর্ভপাতে
বাচ্চা আটকে রেখে দেয়। বৃন্ত নাকি স্বার্থপর যোনি!
২
নড়ন
চড়ন নেই, পুরাতন লিপি না প্রস্তর!
খোদাই সিঁথির দিকে বিমূঢ় আমিও
রক্তের আশঙ্কা নিয়ে পরবাসে এসে দেখি
সরল জেনেছি যাকে, সেই
হা-মুখো মাটির দাঁতে পাথরের মাংস লেগে আছে
বিবি ব্রে
পুরোনো
তাসের বস্তি। বাহান্ন পীঠের স্তুপ। এইখানে
জেলেটির জালে
তলদোষ মুছে নেওয়া গেল
যেকোনো
বাঘের জন্মে আমাদের দৃষ্টি ছিল
ধুনোর মোড়ক
মাংসদেবীর ঘুম ভেঙ্গে দিত ধোঁয়া ও ধুম্বল
সুতোর
আড়াল নিয়ে লালায়িত চক্ষুজিহ্বা কেটে
পালিয়ে না এসে ওরা
চারজন সাত্ত্বিক পুরুষ ভয়ে কাবু হয়ে আছে সর্বনাশী বিবিটি দাপটে
পড়লাম...
ReplyDelete"পুরোনো তাসের বস্তি। বাহান্ন পীঠের স্তুপ। এইখানে
জেলেটির জালে
তলদোষ মুছে নেওয়া গেল"
-- দারুণ এই একপ্রেশন।
ভালো লাগল 'ঘরোয়া দৃশ্যগুলি'।
জয় গুরু 🤘🤘🤘
ReplyDeleteচমৎকার
ReplyDeleteভালো লাগেনি একদমই বাজে লেখা
ReplyDelete