মাতৃপূজা
উচ্চারণমাত্র চারদিক রোদ হয়ে এল। যেন এই ডাক তোমাকে একা রাখবে না কিছুতেই। জিজ্ঞেস করি, এমন কেন? মৃত্যু জেনেও সে হাসে। বলে, ডাকের কোনো ব্যাখ্যা হয় না। কখন কোন মুহূর্তে সে আরাম হয়ে উঠবে, বুঝতে পারে না কেউই। বরং জপ করো। একাক্ষর মন্ত্র দিই কানে। ফিসফিসিয়ে ডাকি – ‘মা!’ বেলা শান্ত হয়। শান্তিরও অধিক কোনো ঘরদোর হয়ে ওঠো তুমি। তোমার দু’চোখ তখন গ্রামবাংলার বনেদি পুকুর, আত্মস্নান সেরে ফিরছে বলে অকৃতদারের হাতে তুলে দিচ্ছ কবেকার পাঠ। ‘ন তাতো ন মাতা ন বন্ধুর্ন দাতা’। সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে, জপযন্ত্র আঁকাচ্ছ আসনের নিচে। মধ্যিখানে লেখো হ্রীং। আমি করালবদন ভুলে যাচ্ছি। ভুলে যাচ্ছি, নিজেরই মাথা কর্তিত করে কীভাবে রক্ত খেতে পারো তুমি। শুধু অপার এক জিহ্বা, জগৎসংসার গ্রাস করে ধেয়ে আসছে আমার দিকে। মার্জারিণী, প্রসন্ন হও। বোশেখদুপুরে ঢালো অফুরান গর্ভচিৎকার। মরে যেতে যেতেও, তোমার স্তনে যেন ভ্রূণবৎ টান রাখতে পারি আমি...
ভাল লাগল
ReplyDeleteখুব ভালো লেখা
ReplyDeleteআহা রে। মা মায়া আর মায়াই মা, আপনার জগৎ হয়েছেন। খুব ভাল ।
ReplyDeleteচমৎকার
ReplyDeleteব্যাপক
ReplyDelete