বাক্‌ ১৪৪ ।। সুব্রত সরকার



 ক্ষত
                             

ঈষৎ পিঙ্গলচক্ষু তারাটির সঙ্গে কী কথা বলতে চাই? সে তখন ক্লাস টেন, কৈশোরের ঢল নেমেছে শরীরে, যেন মনুয়া নদীটি।
আমি শ্যাম, ধান-দূর্বার মতো সিক্ত তরুণ, কিন্তু 
কখনো তো দেখাই হয়নি আমাদের, তাই
                                           কথাও অনুক্ত রয়ে গেছে।


না বলা কথা বাতাসে ভাসে, জলে ডুবে যায়, ছায়ার ভিতরে
মিশে লুকিয়ে পড়ে সময়ে।
             এই নাও লঘু-আয়না, আগুনের টিপ পরো, তোমার হাসির
দহনে আমার পিঠের দুই ডানা যে পুড়ে গেল, তার 
কী হবে? তোমার ওড়নার হাওয়ায় কবিতাও কেঁপে উঠতো, অতীতের ধুলো বাঁচিয়ে হেঁটে যেতে যেতে সেখানে দেখি খুব মেঘ, চেপে জল আসছে।


এই যে শুনতে পাচ্ছেন, এই না বলে ওঠা কথাটি যেন পুষ্পের ভিতর দিয়ে অন্তরে প্রবেশ করতেই এক তাঁতিপাড়া
খটখট করে কেবল মাকুর শব্দ  হচ্ছে নিসর্গে, একটা ব্যথা অথচ চন্দনের গন্ধ বুকে চিনচিন করে ওঠে , আর
                                 মাথার উপরে গাছের ডালের মতো শূন্য তাকিয়ে রইলো


আর জীবনেও দেখা না হয়ে ওঠাটা? যেন পথে পড়ে থাকা 
টায়ারের দাগের মতো স্পষ্ট,অনুরাগ শুধু
সূর্যাস্তের লাল আলো সেখানে এসে পড়লে ক্ষত বলে মনে হয়।

11 comments: