বাক্‌ ১৪৪ ।। অনিমেষ প্রাচ্য



(অসত্য-অলৌকিক-এক-মদ্যশালার দিকেচাই)

১.

দীর্ঘ অস্তিত্বের কথা আমি ভুলে বোসি, ঈশ্বরীর পবিত্র-অভুক্ত-নারকীয় শরীরের ন্যায়, আমি মৃত হয়ে থাকিস্যাঁতস্যাঁতে মদ্যশালার দিকে চাই, নির্লোপ আকস্মিক দ্যাখায়, বহুতর অভিজ্ঞতা লাভ কোরি।
পূর্ণচৌর্যের মতো অসত্য অলৌকিক এই শুয়ে-নীরব-থাকা-অভিনয়-কেবল। 

অরণ্য আমার প্রেম; যৌন প্রেরণার কর্তব্যগুলি আমি পেয়ে বোসি। পরম উত্ত্যক্ত কোরে তোলো আমাকে প্রিয়তমা, সজীব সঙ্গমের মাঝে দীর্ঘ হবে এই বেশ্যাময়ী অভিপ্রায়।

২.

ঘুরছে, অবিকল শূন্য নারকীয় ফুল। আশ্চর্য কতিপয় অভিরূপ নিয়ে, সারস আমাদের য্যানো প্রত্যাখ্যাত হৃদয়।

(২৫ শ্রাবণ, ১৪২৭)



(সুন্দরী প্রেমিকার অভিরূপ)

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী ঈশ্বরীরূপ প্রেমিকার
 মাঝে,— আমার অভ্যন্তরীণ ঘুমন্ত শিশুটিরে দেখি।

আমার কাছে, এই এক স্ফীত লাস্যময়ীতা।

(২৫ শ্রাবণ, ১৪২৭)


(চিত্রল কথা)

আমার ভাষাগুলো ঈগলের দুষ্কর্ম চোখ আশ্চর্য অবয়বগুলি। আমারে করিয়াছে ভগ্ন মহিষাসুর, তৃণরূপি ফড়িঙ; আমারে করিয়াছে, বিপরীত-মূক-অবশ্য-লুন্ঠিত-মূর্চ্ছিত পাখিটির মতো, আমার প্রেরণা নিয়ে, আমার চিত্রল কথা নিয়ে, বঙ্কিম আর্দ্রতা পাখি, আর-যার-তার ভাষা নিয়ে উড়ে যায় সমাচ্ছন্ন-ঈগল-অভিমুখী-জীব।

(২৬ শ্রাবণ, ১৪২৭)


সবশেষে শুয়ে নুইয়ে পড়িতেছি; আকস্মিককিন্তু, কিঞ্চিৎ বর্ণমালায় দ্যাখা-গাছ-হতে-সতেজ-নারঙ্গতায় দ্যাখা-যাইতেছে, প্রভুভক্ত কোনো অরণ্যফড়িঙ; দ্রোহ হতে ছুটে চলিতেছে তাহারারক্তিম আভায়।

 পাহাড়ি সিমিয়ান এই মৃত-অভ্যস্থ-গর্ভরেখা দেখে, প্রেরণাগুলি ব্যাহত হয়; জলস্থলে, শূন্য-স্থিত-করুণ মুগ্ধতার অন্তর্বাসে, দ্যাখা যাইতেছে, গভীর গিরিখাদ; কামুক মদিরা। অভুক্ত-মহাশূন্য হয়েযেহেতু,— কোনো এক প্রবিষ্ট অ্যালপ্রাজোলাম চাঁদ; আমাকে ডাকে, অধ্যাত্ম ইশারায়, 
এইরূপ নগ্নতার পুষ্প নিয়ে আমি ভিন্নতর কাঁদি। 

(ফের- তোমার কাছে জন্ম নেয়, নরক ও ব্রোথেলের তৃতীয় নক্ষত্রযোনী; এই সত্য মেনে নিয়ে, পূর্বেকার মতো, স্মিত হাসি; নির্দ্বিধায়আমি আকস্মিক শুয়ে পড়ি, কুমারীর নতুন দেহে। আমি সেই যোনীর পবিত্রতা লেহনকারী, একমাত্র প্রোপেলার ঈশ্বর।)

শৈশব থেকে আমি ঘুরে আসি,— আর,— এখনও, উষ্ণ-কামোদ্দীপক নিয়ে, রচনা বহুতর বাকি; আমি শুয়ে থাকি মৃত্তিকায়; কবুতরখাদে পা রেখে, বিরল, অসংগতিগম মিথোলজি অভিরূপ দ্রোহধারী জীবন নিয়ে, ভাবিতেছি অত্যাধিক চেতনায়।

(মৃত্যুর উদ্দীপনায় অরণ্যফড়িঙ || অনিমেষ প্রাচ্য)

(২৮ শ্রাবণ, ১৪২৭)


1 comment: