ম্যানহোল
একটা চিৎকারের ছবি আঁকার চেষ্টা করলাম, টু-বি পেন্সিল
দিয়ে ঘষে ঘষে... একের পর এক সাতবার। অথচ প্রতিটা চিৎকার আলাদা আলাদা দেখতে
হয়ে গেল। প্রতিটা চিৎকারই আলাদা... সেটা চোখের জন্য, মুখের জন্য, না পেছনের
অন্ধকারের জন্য... বুঝতে পারলাম
না। কোনো কোনো চিৎকার আর্তনাদ হয়ে গেছে। মজার কথা... পঞ্চম ছবিটি
চিৎকার থেকে সরে শীৎকার হয়ে গেছে!
এত চেষ্টার পরেও... এবারও সবাই
আলাদা হয়ে গেল। আসলে, আমি একটা চিৎকার দু'বার আঁকতেই
পারিনি কোনোদিন!
আলাদা আলাদা চিৎকারের ছবি আঁকা
একটা নেশা হয়ে গেছে। না... এর সঙ্গে এডওয়ার্ড মুংক বা তাঁর
এক্সপ্রেশনিজমের কোনো সম্পর্ক নেই। সত্যিই নেই। প্রত্যেকটা মানুষের ভেতরে নিজস্ব
চিৎকার, উল্লাস, আর্তনাদ থাকে
যা তার আঁকার অধিকার আছে। তাতে কারও আগ্রহ থাকুক বা না থাকুক। দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো
শিল্পগুণ থাকুক বা না থাকুক। কেউ বলেছিল আমাকে— যতটা তীব্র
রব কণ্ঠ থেকে নির্গত হয় না, যতটা চেঁচালে গলার শিরা ছিঁড়ে
যেতে পারে... ততটা চিৎকার
একটা ছবিতে নিয়ে আসা যায়। যতটা রক্তপাত ঘটানো সম্ভব না, ততটা রক্ত
ক্যানভাসে বইয়ে দেওয়া যায়। যতটা সম্ভোগ আকণ্ঠ পান করার শক্তি বা হরমোন শরীরে নেই, ততটাই সম্ভোগ
মেখে নেওয়া যায় তেমন একটা ছবি আঁকতে পারলে। আমার অত সামর্থ্য নেই। সামান্য টাকায়
ভাড়াবাড়িতে জীবন কাটে। ব্যাঞ্জোর সঙ্গে ভাগ করে খাবার খাই (আমার মতোই
ফুটপাথে রাত কাটাত ব্যাঞ্জো... রাস্তার কুকুর)। আর রাতে ঘুম
না এলে বসে বসে ছবি আঁকি। আধখাওয়া রুটি, তারে ঝোলা ব্রা-প্যান্টি, প্রসব
মুহূর্ত, মুখে ঢোকানো
ডায়নামাইট, তৃষিত
ক্লিটরিস, চিৎকার...
একটা বা একাধিক মানানসই সিরিজের
জন্য আমার প্রতিটি পরিচিত বেশ্যার ঠোঁট, চোখ, নাভি অথবা
স্তন যথেষ্ট... প্রত্যেকে
স্বমহিমায় ক্যানভাস দখল করে নেওয়ার অধিকার রাখে। আমিই অক্ষম! টাকা দিয়ে
চলে আসি দরকার ফুরোলে। তাই সিরিজে আসে চিৎকার, একের পর এক
চিৎকার। বড় পাতা জুড়ে চিৎকার আঁকলাম। ষোলোটা এ-ফোর পাতা
জুড়ে একটা বড় চিৎকার আঁকলাম। ষোলোটা কাগজ ঠিকভাবে সাজালে তবে সেই চিৎকার ফুটে ওঠে।
দু'রাত জেগে
আঁকা। ষোলোটা পিন বিঁধিয়ে ষোলোটা কাগজ ঝুলিয়ে রেখেছিলাম দেওয়ালে। মলি দেখে অবাক
হয়ে গেছিল। বলেছিল— এমন আলাদা আলাদা কাগজে আমাকে আঁকো, আমার সারা
শরীর, মাথা থেকে পা
অবধি... যেভাবে বলবে
পোজ দেব... শুয়ে, দাঁড়িয়ে।
হাসলাম, ও চলে যাওয়ার
পর একটা-একটা করে জ্বালিয়ে দিলাম ষোলোটা কাগজ। দেওয়ালটা ফাঁকা হয়ে গেল। এরপর সমস্ত
দেওয়াল জুড়ে একটা চিৎকার এঁকেছিলাম। ওটা দেখে মলি আঁতকে উঠেছিল, আর আমার ঘরে
আসতে চাইত না। বেশি টাকা দিতে চাইলেও না। তারপর একদিন কাজ থেকে ফিরে দেখি ব্যাঞ্জো
রাস্তায় খুব ডাকাডাকি করছে, রাস্তায় সামনে দমকল... আস্ত ঘরটাই
আগুনে খেয়ে নিয়েছে।
এই ম্যানহোলটার ঢাকা ভেঙে গেছিল, বাকিটা ঠুকে
ঠেলে দিয়েছি ভেতরে। এখন মুখটা পুরো হাঁ। এই হাঁ থেকেই আর-একটা চিৎকার জন্মাতে
পারে। রাস্তার অনেকটা জুড়ে একটা চিৎকার... লাল আর কালো রং দিয়ে। এক বালতি
আলকাতরা আর লাল পেইন্ট সঙ্গেই আছে, তবে লাল রং কম করতে পারে। লাল
কম পড়লে রক্তের ব্যবহার করতে হবে। প্রচুর মানুষ বেওয়ারিশ মরে যায়, তাদের রক্ত
জমে ওঠার আগেই চিৎকার বানিয়ে ফেলতে হবে। মানুষ-অমানুষ, কেউ তো মরবেই! মৃত্যুহীন
রাত বলে কিছু হয় না। দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে... পুলিশের গাড়ি
টহলে আসার আগেই। তারপর ঘাপটি মেরে ডাস্টবিনের ভেতরে বসে বসে দেখব... আমার চিৎকার
কে আগুনে পোড়ায়?
অপ্রস্তুত
চারটে আলাদা আলাদা দেখতে মাছের পেটি পাশাপাশি রাখা— একজন দেখিয়ে মুচকি হাসল। অন্যরা সকলে হোহো করে হেসে উঠল।
অন্য একজন চারটে আলাদা আলাদা
ভাবে খোলা বিয়ার ক্যান পাশাপাশি রেখে দেখাল। সেও মুচকি হাসল। আবার হাসির রোল উঠল।
—তাই বলে মাছের পেটি?
—মাছভাজা আর বিয়ার... এটাই তো
কম্বিনেশন!
—মেটাফরটা দ্যাখ... মেটাফরটা!
—মাছভাজা-বিয়ার... যদি কেউ এখন
রেখে দিত!
—রেখে দিলে কোনটা বেছে নিতি? এদিক থেকে কত
নম্বর, আর ওদিক থেকে
কত নম্বর?
—কোনোদিক থেকেই ফার্স্ট আর
লাস্ট চলবে না। দুটোই ফালতু!
—সে তোমার ফালতু লাগতেই পারে... যার যা
প্রেফারেন্স!
—হ্যাঁ... কেউ পাকা খায়, কেউ ডাঁসা
চায়।
—আরে ট্রাফিকিং-এর সময়ে ভার্জিনদের
আলাদা দাম ওঠে জানিস? সব থেকে হাই-প্রাইসে টিন-এজারগুলোকে তোলে
শেখগুলো।
—জানি, মাইনরদের হাই
ডিম্যান্ড।
—এমন ভাবে বলছিস, যেন সামনে
বসে দেখেছিস। সব তো সিনেমা দেখা বিদ্যে।
—মোটেই না! বই আছে... জার্নালস-এর আর্টিকলস
আছে...
—আঁটি আছে, আম আছে।
হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুক মারানো মালের নাকি জার্নালস আর আর্টিকলস।
—তোদের সব কথা এই ফুটোতে এসেই
থামবে... বিয়ে-থা হয়ে গেল, বাচ্চারা
স্কুলে পড়ছে... আর তোরা এখনও
এর থেকে বেরোতে পারলি না!
—রাখ তো! কিটিপার্টিগুলোতে
কী হয় তুই দেখতে যাস? সসেজ, হটডগ, আইসক্রিম, কলা... এসব নিয়ে ওরা
চুইমুই করে না? সেই
কিটিপার্টির ভাইরাল ভিডিওটায়, দেখেছিলি বেলুন নিয়ে কী করছিল?
কেউ কিছু উত্তর দেওয়ার আগেই...
একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিয়ো
চলতে শুরু করল। ভোজপুরি সংগীতের তালে তালে এক মহিলা নেচে চলেছেন। গায়ের রং মাখনের মতো... অবাঙালি, তা আন্দাজ
করা যায়। মহিলা গানের কলিতে লিপ দিচ্ছেন, অভিনয়ের নিপুণ অভিব্যক্তি ফুটে
উঠছে মুখ-চোখের পরিণত
ইশারায়। নাচতে পারেন, এটাও বোঝা যায়। গোলাপি রঙের শাড়ি, দু'হাত ভরা রঙিন
কাচের চুড়ি, কপালে মেরুন
টিপ আর ঠোঁটে ম্যাচিং
মেরুন লিপস্টিক গাঢ় করে লাগানো। তবে, সেসব ছাপিয়েই দৃষ্টি আকর্ষণ
করছে সাদা ধবধবে মেদবহুল পেট আর কোমর, নাচের তালে-তালে আলোড়ন জাগানো কোমরের ভাঁজ আর গভীর
নাভি। মেরুন রঙের ব্লাউজের বাঁধন-না-মানা উন্নত বুকের অংশ।
ভিডিয়োর শুরু এবং শেষে বেশ
কায়দা করে ইংরিজিতে ফুটে উঠল— ভাবি কি জলওয়ে।
—ব্যস? এটুকুই?
—আরও চাই? পুরো কালেকশন
আছে! ওয়েট!
একের পর এক দশ-বারোটা ভিডিয়ো
চলে এল পরপর। সবাই দেখে শেষ করতে ব্যস্ত। কথা বলা বন্ধ।
আচমকা 'ধড়াম' শব্দ করে দরজাটা বন্ধ হয়ে গেল। ভীষণরকম চমকে উঠে লোকটা পেছন ফিরে দেখল ঘরের দরজাটা বন্ধ, পর্দাটা দুলছে। বিভোর হয়েছিল... শিউরে ওঠায় কাঁটা ফুটে গেছে গায়ে। শুকনো গলায় একটা ঢোঁক গিলল। বুঝতে পারছে না— পেছন থেকে কে চলে গেল... স্ত্রী, না মেয়ে? কতটা দেখতে পেল তারা?
আচমকা 'ধড়াম' শব্দ করে দরজাটা বন্ধ হয়ে গেল। ভীষণরকম চমকে উঠে লোকটা পেছন ফিরে দেখল ঘরের দরজাটা বন্ধ, পর্দাটা দুলছে। বিভোর হয়েছিল... শিউরে ওঠায় কাঁটা ফুটে গেছে গায়ে। শুকনো গলায় একটা ঢোঁক গিলল। বুঝতে পারছে না— পেছন থেকে কে চলে গেল... স্ত্রী, না মেয়ে? কতটা দেখতে পেল তারা?
বারমুডাটা সামান্য নামানো।
নিজের পৌরুষ চোরের মতো লুকিয়ে আছে ডানহাতের মুঠোয়, ঝিমিয়ে
পড়েছে। হাত ভিজে গেছে তার অপ্রস্তুত বমিতে। মোবাইলটা তখনও সামনের টেবিলের ওপর রাখা... ভিডিয়োটা
থেমে গেছে।
কতটা সচেতন থাকলে, হাত নড়লেও
শরীর স্থির রাখা যায়... কতটা কাছে এসে থাকলে ওরা কতটা দেখে থাকতে পারে... এইসব ভাবতে
ভাবতে কানটা গরম হয়ে উঠল। পেছন ফিরে শোয়ার ঘরের দরজার দিকে তাকিয়ে আর-একবার থুতু-গেলা ঢোঁক
গিলল লোকটা।
মুশকিল হল... মেয়ে এখন
দিদার সঙ্গে থাকে। আর স্ত্রী? মাস ছয়েক হয়ে গেল, নেই... স্যুইসাইড
করেছিল।
আবার ম্যাসেজ আসছে গ্রুপে।
হাতটা এখনও ভিজে, চ্যাটচ্যাট করছে... লোকটা তুলতে পারছে না ফোনটা।
মেকআপ
ওদেশে ফিউনারাল সার্ভিস, মেকআপ-টেকআপ করে দেয়... জানেন?
যে জলাশয়ের তল দেখা যায়, তার জলে আর
তলায় একই সঙ্গে রোদ্দুর খেলা করে। ভেসে যাওয়া শুকনো পাতা আর জলাশয়ের ভূমি আলো করা
রোদ ছাড়াও, দেখতে ইচ্ছে
করে— ক'টা ছোট মাছ
ঘুরে বেড়াক, জলজ প্রাণী
নড়াচড়া করে উঠুক। নাহলে, সব থেকেও কেমন ফাঁকা ফাঁকা
লাগে। ফোয়ারার জমা জলে মাছ নেই... কটা জল-পোকা এদিক-ওদিক চলে
গেল। আকাশি টালি বাঁধানো মেঝেতে রাস্তার আলো পড়লেও, তাতে মিশে
আছে চাঁদের আলো। চাঁদের ছায়া দুলছে জলে। অথচ জলজ প্রাণী নেই... ফোয়ারাও
বেকল। আরও এক অসহ্য পরিত্যক্ততা!
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শাড়ির
আঁচলটা সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়াল ঐশী। জলাধারের জলে নিজেকে দেখল, জল স্থির... প্রতিবিম্বও।
চাঁদের পাশে বড়ই অস্পষ্ট। এবারে একটা গাড়ি বুক করতে হবে... ফেরার পথে রাতের
খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হবে। ফেরা মানে ভাড়ার ফ্ল্যাটে। সমস্যা বাড়তে বাড়তে এমন
জায়গায় গেছিল, যে বাড়িতে আর
থাকা যেত না। ছোটবেলা থেকেই অনেকের অনেকরকম কথা শুনেছে... ঘরে-বাইরে। মা
একটু বুঝত, বাবা সেটুকুও
পারত না। মেয়েদের পোশাক... তারপর নাম বদল— তখনই বলেছিল
বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে। সার্জারির সিদ্ধান্তটাই শেষ ধাক্কা। আলাদাই ভালো আছে ঐশী।
বাবা-মার মানিয়ে
নিতে অসুবিধে হচ্ছিল, ঐশীও সহ্য করতে পারছিল না দমবন্ধ করে মেকি জীবনে বাঁচতে।
তবে ওই আত্মীয়-প্রতিবেশীদের
কথা মা-বাবাকে
সারাজীবন শুনে যেতে হবে। হয়তো সত্যিই এটা একরকম শাস্তি... বা কর্মফল... ওদের কাছে।
সার্জারিটা এখনও হয়নি। কনসাল্ট
করছে, ধাপে ধাপে এগোনোর
কথা হচ্ছে। পুরো ট্রান্সফরমেশন একধাক্কায় সম্ভব না, ঝুঁকিও থাকে।
ঐশীর তাড়া নেই। নতুন চাকরিটা মন দিয়ে করতে চায়। অনেকে হেল্পও করেছে। ও ভাবতেই
পারেনি এই শহরে ওর মতো এত মানুষকে পাশে পাবে। কেউ কেউ ছুটির দিনে ঐশীর ফ্ল্যাটে
আসে, ঐশীও তাদের
কাছে যায়। সাভিওর সঙ্গেও এভাবেই আলাপ। সাভিওরা গোয়ানিজ, কিন্তু কলকাতায়
অনেক বছর হয়ে গেল... ওর সঙ্গে গোয়ায় যাওয়ার প্ল্যান হয়েছে। গত মাসে মন্দারমণিতে
উইক-এন্ডটা ভালোই কেটেছিল। সাভিও আজ রাতে আসবে, ওর কাছে
ফ্ল্যাটের চাবি থাকে। গাড়ি আসতে সাত মিনিট লাগবে দেখাচ্ছে, সিগনালে
আটকালে আরও কিছুক্ষণ। অথচ এদিকটা একটু বেশিই ফাঁকা ফাঁকা। অন্যদিন সন্ধেবেলা
হাঁটার সময়ে বুঝতে পারেনি রাতের দিকে এদিকটা এতটা নির্জন লাগে। অথচ মাঝেমাঝে এই
নির্জনতার জন্যই বুকটা হুহু করে ওঠে। নিঃসঙ্গ কাটাবে বলেই এদিকে এসেছিল...। সাভিও আসার
প্ল্যান না থাকলে, এখানে আরও কিছুক্ষণ একাই থাকত। কিন্তু এখন গাড়ির জন্য
অপেক্ষা করতে অস্বস্তি হচ্ছে। দু’-তিনটে লোক দূর থেকে কেমন বিশ্রী
ভাবে দেখছে!
—অটোপ্সি রিপোর্ট এসেছে?
—হুম... এই যে। জীবিত
অবস্থায় দু’বার রেপ করেছে... মরার পর আবার... কেউ
নেক্রোফিলিয়্যাক ছিল গ্রুপে।
—শিট!... কজ অফ ডেথ?
—অ্যাসফিক্সিয়া। বোধহয় খুন করতে
চায়নি, মুখে হাত-টাত চাপা ছিল... স্ট্রাগল
করতে করতে...
—বাড়ির লোক?
—আইডি ট্র্যাক করছি... বাড়ির লোকের
জ্বালা, একে হিজড়ে, তার ওপর...
—ট্রান্সজেন্ডার? না ক্রস-ড্রেসার?
—একই তো...
—না এক না... মেডিক্যাল
রিপোর্ট-টা দেখুন।
বায়োলজিক্যালি ছেলে-ই।
—তাহলে? নাম ঐশী...
—যাকগে, সেসব পরে
দেখা যাবে... বাড়ির লোক
আসুক আগে। কেস ফাইল করবে ডেফিনিটলি। যা ডিএনএ স্পেসিমেন পাওয়া যায়, রেখে দিন।
—কার সঙ্গেই বা ম্যাচ করব... কত স্পেসিমেন, কত স্যাম্পেল
এমন আসে... বাপ-মায়ের শাস্তি!
—
—
—ওদেশে ফিউনারাল সার্ভিস, মেকআপ-টেকআপ করে
দেয়... জানেন? মানে... বডিতে টাচআপ
করে দেয়, মাথার চুল
ঠিক করে দেয়। জামাকাপড় পরিয়ে, একেবারে টিপটপ করে ক্যাসকেডে
রাখে। ওর উইগটা পড়ে ছিল স্পটে... ওটা একটু ঠিক করে ওর মাথায় সেট
করে, মুখ-টা একটু
পরিষ্কার করে দেওয়া যায় না? বাড়ির লোক আসতে তো দেরি আছে
এখনও!
আঁতকে উঠলাম পড়ে। একটা ডার্ক undertone চারিদিকে। প্রথম টা তো masterwork...
ReplyDeleteকী সব লিখেছেন । অসাধারণ লেখা৷
ReplyDeleteপ্রত্যেকবারই আপনি নতুন নতুন ভাবে চমকে দ্যান।একটা বিষণ্ণ ভাললাগা জাগিয়ে তোলেন।অন্ধকার কুয়াশা ছিঁড়ে ছেনে কীভাবে গড়ে তোলেন একেকটা মাস্টারপিস ভেবেই অবাক হয়ে যাই!আপনার গভীরতার তল করতে পারিনা।অথচ মুগ্ধ হতেই থাকি।আপনার এই ব্যাপ্তি বাড়তে থাকুক,আর আমরা অসামান্য সৃষ্টিদের পেতে থাকি।শুভেচ্ছা জয়দীপ বাবু।♥
ReplyDelete